,

মাধবপুর ডাকবাংলো অতিথি পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল

মাধবপুর প্রতিনিধি : অথিতি পাখি পানকৌড়ির মাধবপুর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ডাকবাংলো প্রাঙ্গণ কিচি মিচিতে মুখরিত হয়ে উঠছে। শিকারিদের কোন অত্যাচার না থাকায় ডাক বাংলো প্রাঙ্গণের বিভিন্ন গাছে দীর্ঘদিন ধরে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসাবে বেছে নেয় পানকৌড়ির পাখিরা। সকাল-সন্ধ্যায় পাখির ডাকের শব্দে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো ডাকবাংলো এলাকা। মাধবপুর রোডস এন্ড হাইওয়ে ডাকবাংলো প্রাঙ্গণের ভেতর মেহগনি গাছে পানকৌড়ি ও বাসা তৈরী করেছে। এটি পাখিদের নিরাপদ স্থান।
ডাকবাংলোর চারদিকে রয়েছে নিরাপত্তা বেষ্টনী। এখানে শিকারিরা কোনরকম ভাবে পাখি শিকার করতে পারে না। ডাকবাংলো প্রাঙ্গণের ভেতর রয়েছে নানান প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের গাছ। মেহগনি ছাড়াও রয়েছে নারকেল গাছ। সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে আছে যেন এক মনোরম পরিবেশ। আর এ গাছ-গাছালিতে পাখিরা বাসা তৈরি করে নিরাপদে বংশ বৃদ্ধি করে চলেছে। ডাকবাংলো দক্ষিণ পাশ দিয়েই বয়ে গেছে সোনাই নদী। এখানে আশ্রয় নেওয়া পাখিরা দিনের বেলা ওই নদীসহ আশপাশের বিভিন্ন রকম জলাশয় থেকে আধার খেয়ে সন্ধ্যায় ফিরে আসে নীড়ে। সন্ধ্যার সাথে ঝাঁকে ঝাঁকে পানকৌড়ি উড়ে আসার দৃশ্য দেখে এলাকাবাসীর মনও ভরে উঠে। শুধু এলাকাবাসী নয় ডাকবাংলোতে আশা মেহমান পরিবার-পরিজনও পাখির কোলাহলে আনন্দ উপভোগ করে। পানকৌড়িরা দূর থেকে মুখে করে নানা ধরনের উপকরণ এনে বাসা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। এখানে পাখিদের নিরাপদে থাকা ও বংশ বৃদ্ধির জন্য ডাকবাংলোর লোকজন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। বন বিভাগের লোকজন ডাকবাংলোর গেইটে চাইনবোর্ড দিয়েছে ওই এলাকা পাখি শিকার ও পাখি নিধন নিষিদ্ব।
এই বাংলোর পাশে নার্সারি ব্যবসায়ী সেলিম মিয়া বলেন, এখানে কেউ পাখিদের উপর অত্যাচার করে না। নিরাপদে থাকতে পেরে পানকৌড়ি। বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এখানে বাসা তৈরি করে। সকাল সন্ধ্যায় তাদের ডাক শুনে ব্যবসায়ীদেরও মন ভরে যায়। কিছুদিন আগে পাখির সংখ্যা কমে যাওয়ায় তাদের কোলাহলও কমে গিয়েছিল। আবারও পাখি আসতে শুরু করেছ। পাখির ডাকে কোলাহল হয়ে ওঠে এলাকা। শীত মৌসুমে এখানে অতিথি পাখিও দেখা যায়।
সাতছড়ি বন কর্মকর্তা মো. আল আমিন জানান ডাকবাংলো প্রাঙ্গণের গাছে নিরাপদে থাকার কারণে পাখির অভয়ারণ্য গড়ে উঠেছে। আমরা সার্বক্ষণিক খুজ খবর রাখছি যাতে কোন শিকারী যেন পাখি শিকার করতে না পারে।
উপজেলার ভেতর সবচেয়ে পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে ডাকবাংলো। পানকৌড়ি একসঙ্গে ২ থেকে ৬টি ডিম দিয়ে থাকে। এ পাখির ডিমের বর্ণ নিলচে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চকচকে সাদা বর্ণ ধারণ করে। পুরুষ ও স্ত্রী পানকৌড়ি যৌথভাবে ডিম ফুটাতে সহায়তা করে। অধিকাংশ ডিম থেকেই বাচ্ছা জন্ম নেয়। তিন থেকে পাঁচ সপ্তাহে ডিম থেকে ছানা বের হয়। তিন বছর বয়সে এরা বয়স প্রাপ্ত হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর